ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ কৃষকের মৃত্যু

কৃষকদের দিল্লি যাত্রা স্থগিত
প্রকাশনার সময়: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৮

ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান দুদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ আগের মতো চলতে থাকবে। এর আগে, পুলিশের হামলায় এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কৃষকের নাম শুভ করন সিং।

আহত অবস্থায় ‌পাতিয়ালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরে বুলেটের চিহ্ন ছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত ওই কৃষকের নাম শুভ করন সিং। পাতিয়ালা হাসপাতালে তিনজনকে আনা হয়।

কিন্তু আনার পরেই একজনের মৃত্যু হয়। তবে অন্য দুজনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের শরীরেও বুলেটের ক্ষতচিহ্ন ছিল।

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চতুর্থ দফার আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর পাঞ্জাব–হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে জড়ো হওয়া কৃষকেরা বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করেন। তাদের গন্তব্য ২০০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী নয়াদিল্লি।

এদিকে কৃষকদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষান সভার অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরেই ওই কৃষক নিহত হয়েছেন। তবে হরিয়ানা পুলিশ এমন অভিযোগ মানতে চায়নি। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুদিনের জন্য দিল্লি যাত্রা স্থগিত করেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ আগের মতো চলতে থাকবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা কৃষকনেতাদের নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দেন। মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা বলেন, ‘আমি সব সংগঠনকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। আলোচনার মধ্য দিয়েই আমাদের সমাধানে পৌঁছাতে হবে। তাই আলোচনায় যোগ দেয়ার অনুরোধ করছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলাম। জানতে পারলাম কৃষকনেতারা তাতে সন্তুষ্ট নন। আমরা এ আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই। শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে।’

সরকার যে প্রস্তাব দিক, কৃষকনেতারা এমএসপির আইনি বৈধতার দাবিতে অনড়। গতকালও তারা জানিয়েছেন, ২৩টি ফসলের এমএসপি নিশ্চিত করা তাদের প্রধান দাবি।

ওই সূত্রে বলা হয়েছে, চাষের সব ধরনের উপকরণ খরচ যেমন বীজ, সার, পানি, বিদ্যুতের সঙ্গে পরিবারের সবার শ্রমের মূল্য ধরে মোট উৎপাদন খরচ যা হবে, তার সঙ্গে আরও ৫০ শতাংশ যুক্ত করলে যা দাঁড়াবে, সেটাই হবে এমএসপি বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য।

সেটাই সরকারকে আইনি বৈধতা দিতে হবে। কৃষকনেতারা সরকারকে জানিয়ে দেন, তারা ২৩টি পণ্যেরই এমএসপি চান। শুধু ডাল, ভুট্টা ও তুলার জন্য নয়।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ