গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে নিরাপত্তা পরিষদের অপর সদস্য চীন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ ‘ভুল বার্তা দিয়েছে’ এবং এটি কার্যত ‘হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত’ দেওয়ার মতো বলে জানিয়েছে বেইজিং।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের দাবি, আলজেরিয়ার এই প্রস্তাব যুদ্ধ অবসানের চলমান আলোচনাকে ‘বিপদে’ ফেলবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে আনা অন্য একটি প্রস্তাবে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও রাফাহ শহরে সর্বাত্মক হামলা না চালানোর বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতি হুঁশিয়ারি রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্য রাষ্ট্র আলজেরিয়ার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের নীতি অনুযায়ী, একজন স্থায়ী সদস্য ভেটো দিলেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটে এই প্রস্তাব বাতিল হয়। এছাড়া যুক্তরাজ্য ভোট দেওয়ায় বিরত থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ভেটোর প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন জানান, চলমান কূটনৈতিক আলোচনার সঙ্গে আলজেরিয়ার প্রস্তাব সাংঘর্ষিক, এই দাবি ‘একেবারেই ভিত্তিহীন।’ গাজার যে পরিস্থিতি, তাতে পরোক্ষভাবেও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে অসম্মতি জানানোর সঙ্গে হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রাখার সবুজ সংকেত দেওয়ার কোনো পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, এই সংঘাতের কারণে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে এবং আরও বড় আকারে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। গাজায় যুদ্ধের দাবানল নেভাতে পারলেই কেবল আমরা সমগ্র অঞ্চলকে নরকের আগুন থেকে রক্ষা করতে পারব। আপনারা আপনাদের বিবেক যাচাই করুন। চিন্তা করুন, ইতিহাসে আপনাদেরকে কীভাবে বিচার করবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে গতকাল পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৬০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তারা প্রায় আড়াই শ লোককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ