ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের দিনটি শুধুই সিঙ্গেলদের

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৭ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১

সারাবিশ্বে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ভ্যালেন্টাইন্স'ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিন সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকারা নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। একে-অপরকে ফুল, চকলেট কিংবা পছন্দের জিনিস উপহার দিয়ে থাকেন তারা।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশেষ এ দিনে রিকশায় ঘুরতে বের হন কপোত-কপোতিরা। এছাড়াও তারা রেস্ট্রুরেন্টে যান, পার্কে বসে বাদাম খান, ম্যাচিং করে শাড়ি-পাঞ্জাবি পড়েন।

আর এসব দৃশ্য সারাদিনে চলার পথে কিংবা সামাজিক মাধ্যমের নিউজফিডে দাপিয়ে বেড়ায়। যা দেখতে দেখতে একরকম অভ্যন্তরীণ দুঃখ অনুভব করেন সিঙ্গেলরা। সত্যি বলতে যারা সিঙ্গেল, তাদের জন্য এসব দৃশ্য দেখে একটি দিন সহ্য করা একটু মুশকিলই বটে।

গত কয়েকবছর ধরে এসবের প্রতি একরকম বিরক্ত প্রকাশ করে ব্যানার হাতে র‌্যালি করতেও দেখা গেছে সিঙ্গেলদের। তবে জানেন কি, আপনি যদি সিঙ্গেল হয়ে থাকেন তবে আজকের দিনটি আপনার জন্য। হ্যাঁ, ভালোবাসা দিবসের পরদিন অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে পালিত হয় ‘সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে‘ অর্থাৎ ‘একক সচেতনতা দিবস।’ অনেকে এ দিনটিকে ‘স্যাড ডে’ হিসেবেও উদযাপন করেন।

বিশেষ এদিনের প্রতিপাদ্যের অর্থ এমন- ‘মূলত সঙ্গীবিহীন জীবনের প্রতি করুণা নয় বরং বিশ্বকে জানিয়ে দিন আপনি সিঙ্গেল। আর এটা আপনার নিজের সিদ্ধান্ত; যা নিয়ে আপনি খুশি। দিনটিকে উদযাপন করুন নিজের খুশি মতো।’

উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, একক সচেতনতা দিবস সাধারণত যারা অবিবাহিত বা কোনো প্রকার রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে আবদ্ধ নন, তাদের জন্যই এ দিবসটি। এদিন সিঙ্গেলরা একাকিত্ব উপভোগ করবেন। শুধুমাত্র নিজেকে ভালবাসার স্বীকৃতি দিয়ে, নিজের জন্য সময় বের করে এ দিবস উদযাপন করার রীতি রয়েছে। এটি প্রেমের সম্পর্ক ছাড়া অন্যান্য সম্পর্ক যেমন শুধু বন্ধুত্ব বা পরিবারের মধ্যে ভালবাসা প্রকাশের জন্যেও উদযাপন করা যায়। এছাড়াও এ দিবসটিতে অবিবাহিত লোকেরা অন্য সিঙ্গেলদের জন্য সমবেদনা জানিয়ে থাকেন, তাদের নিয়ে ‘কফি ডেট’ এর আয়োজন করে থাকেন। তারা রোমান্টিক দম্পতিদের মনে করিয়ে দিতে চান, জীবন উদযাপনের জন্য কোনো সম্পর্কের দরকার নেই।

সিঙ্গেলস অ্যাওয়ারনেস ডে’র ইতিহাস

২০০১ সালের দিকে মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র ডাস্টিন বার্নস তার বন্ধুদের দুঃখের মধ্যে ডুবে না গিয়ে তাদের একাকিত্ব উপভোগ করার জন্য একটি দিন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেখান থেকেই এর উৎপত্তি। তবে অন্যান্য আন্দোলনের মতোই একক সচেতনতা দিবসটি বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি থেকেই তৈরি হয়েছিল। একক সচেতনতা দিবস ২০০৫ সালে বৈধভাবে কপিরাইটযুক্ত হয় এবং দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তবে শুধু অবিবাহিত কিংবা সঙ্গীবিহীন মানুষই নয় এখন সমস্ত প্রাপ্তবয়স্করাই তাদের জীবনের প্রতি গুরুত্ব বুঝতে এবং পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে দিবসটি উদ্‌যাপন করছে। তাই আপনিও আর ঘরে বসে না থাকে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে আসুন। কিংবা পরিবারের সাথে জমিয়ে একটা ডিনার করুন। নিজের সাথে সময় কাটাতে চাইলে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন পাহাড় কিংবা সমুদ্রে; সময় দিন নিজেকে।

নয়াশতাব্দী/ডিএ/

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ