ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হালদওয়ানিতে সরকারি জমিতে থাকা মসজিদ ও সংলগ্ন মাদরাসাকে অবৈধ ঘোষণা করে ভারতের আদালত। পরে এ দুটি স্থাপনার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫০ জন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনার পর শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এমনকি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিতে আসাদের "দাঙ্গাকারী" উল্লেখ করে সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মসজিদ ও মাদরাসাটি সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত বলে রায় দেয় আদালত।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, এ সহিংসতায় বিক্ষুব্ধ জনতা কর্মকর্তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে এবং জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে থানার বাইরে গাড়িতে আগুন দেয়ায় সহিংসতা বেড়ে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
কিছুদিন আগেই ভারতের নয়াদিল্লিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন আকঞ্জি মসজিদ। তত্ত্বাবধানকারীদের মতে, মসজিদটি রাজিয়া সুলতানার শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল, যা প্রায় ৬০০-৭০০ বছরের পুরনো।
মসজিদের ম্যানেজিং কমিটি জানায়, রাতের অন্ধকারে ধ্বংস করা হয়েছে আকুঞ্জি মসজিদ। এর আগে তারা কোনো নোটিশ পাননি।
ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার উত্তরাখণ্ডে একটি মসজিদ ও মাদরাসা ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। নয়াশতাব্দী/ডিএ/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ