একাকিত্ব! যেন এক নীরব যন্ত্রণা। না কাউকে এর জ্বালা বোঝানো যায়, না সেটা সহ্য করা যায়। শুধু ভুক্তভোগীরাই বোঝেন এর কষ্ট। প্রায় অধিকাংশ মানুষই কোনো না কোনো সময় খুব একাকিত্ব অনুভব করেছেন। শারীরিক অসুস্থতাও যেন এর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বরং একাকিত্ব অনুভূত হতে হতে বাড়ে হতাশা, যা ঘটাতে পারে বড় কোনো শারীরিক অসুস্থতা। যদিও ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেন না কেউই; তবে এবার আসছে পরিবর্তন।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, একাকিত্ব যে অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা এতদিনে তা বুঝতে শুরু করেছি আমরা। তবে অনেক সময়, সব বুঝেও কিছু করার থাকে না, তাই একাকিত্ব দূরীকরণেও তেমন সচেতনতা তৈরি হয়নি। সংস্থাটির দাবি, একাকিত্বের যন্ত্রণা অতিমারীর পর থেকে আরও বেড়েছে।
আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলীয় এলাকা সারা বিশ্বে সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবনকারীদের আনাগোনা সেখানে। কিন্তু ওই সিলিকন ভ্যালি থেকেই এবার একাকিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু হল। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন একটি প্রস্তাব পাশ করেছে, যাতে একাকিত্বকে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে একাকিত্বকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
একাকিত্ব যে আজকের দিনে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অসুখ, বেশ কয়েকমাস আগেই সেই দাবি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি একাকিত্ব থেকেই কার্জিওভাস্কুলার রোগ, ডিমেনশিয়া, স্ট্রোক, অবসাদ, উৎকণ্ঠা এবং অকালমৃত্যু ঘটে বলে জানিয়েছিল তারা।
এর আগে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একাকিত্ব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। যাতে বলা হয়, দিনে ১৫টি সিগারেটে টান দেওয়া যতটা ক্ষতিকর, একাকিত্বও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ততটাই ক্ষতিকর।
সূত্র-এবিপি আনন্দ, দ্যা গার্ডিয়ান
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ