ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বানরের থুতু থেকে কফি মেলে ভারতে

প্রকাশনার সময়: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৭ | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫১

কফি খেতে কে না ভালবাসেন? ভালো কফির স্বাদ পেতে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন ক্যাফেতে? তবে খানিকটা নতুন অভিজ্ঞতা নিতে চুমুক দিতে পারেন মাঙ্কি স্পিট কফিতে। নাম-শিরোনাম শুনে অবাক লাগছে নিশ্চই; ভাবছেন, বানরের থুতু দিয়ে আবার কিভাবে কফি তৈরি হয়! অবাক লাগলেও সত্যিই, এমন অদ্ভুত নামের কফি মিলছে পাশের দেশ ভারতেই।

আপনি অনলাইন মার্কেটে অহরহ দেখতে পাবেন এই কফি। চাইলে হোম ডেলিভারি অর্ডারও করতে পারবেন। এছাড়াও সুপার শপগুলোতে ইম্পোর্টেড প্রোডাক্ট লিস্টেও পেতে পারেন এই মাঙ্কি স্পিট কফি।

মূলত তাইওয়ান আর ভারতে এই ধরনের কফির চাষ হয়। ভারতের চিকমাগালুরে এই ধরনের কফির বীজের সন্ধান পাওয়া যায়। দুই জায়গাতেই বনের আশপাশের অঞ্চলে কফি বাগান রয়েছে। সেইসব বনে মূলত তাইওয়ানে ফরমোসান রক ম্যাকাক প্রজাতি ও চিকমাগালুতে মূলত রিসাস প্রজাতির বানরের বাস। বনজঙ্গল থেকে বানরেরা এসে কফি বাগানের সবচেয়ে ভালো প্রজাতির কফির বীজ তুলে খেয়ে, সেগুলো চিবিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে বাগানের কর্মীরা সেই চিবানো বীজগুলো সংগ্রহ করে। সংগৃহীত ওসব কফির বীজগুলো ভাল করে ধুয়ে, শুকিয়ে সেগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। পরে তা বাজারজাত করা হয়।

এছাড়াও, বিশ্বের অন্যতম দামি কফি "কোপি লুয়াক" ও তৈরি হয় পশুর মল থেকে। ইন্দোনেশিয়ায় "এশিয়ান পাম সিভেট" নামের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে, যা দেখতে অনেকটা বিড়ালের মতো। এই প্রাণীর জন্যই সাধারণ কফি বদলে যায় মহার্ঘ্য কফিতে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই প্রাণীর শরীরে গুণগত পরিবর্তন হয় কফির বীজের। এশিয়ান পাম সিভেট এই কফি দানাগুলি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

নয়াশতাব্দী/ডিএ/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ