একদিন নয়, দুদিন নয়- দীর্ঘ চার বছর ধরে স্বামীর মৃতদেহের সাথে রাত কাটিয়ে দিলেন স্ত্রী। এমনকি প্রাচীন মিসরীয় ধর্মের রীতি অনুযায়ী ওই মৃতদেহ নিয়ে বিভিন্ন আচারও পালন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা ফাঁস হলে সন্তানদের অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন ওই নারী। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছেন ৫০ বছর বয়সী নারী সুয়েতলানা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সুয়েতলানাকে নিয়ে উঠে আসে ভয়ঙ্কর সব তথ্য।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ঝগড়ার সময় সুয়েতলানা স্বামীর মৃত্যু কামনা করেছিলেন। একপর্যায়ে ২০২০ সালে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময়, পড়ে মারা যান ৪৯ বছর বয়সী স্বামী ভ্লাদিমির। তিনি মারা যাওয়ার পরে তার স্ত্রী ভাবেন যে, তার স্বামী ভান করছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ভ্লাদিমিরের বড় মেয়ে বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তার বাবার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। সে সময় এই ঘটনা ফাঁস হলে সন্তানদের অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন সুয়েতলানা।
এদিকে এই মৃতদেহ উদ্ধারের আগে ভ্লাদিমিরের কথা তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাস করা হলে একরকম ধানাই পানাই উত্তর দিতেন সুয়েতলানা। বলতেন, ব্যতিক্রমী চিকিৎসা শিখতে তার স্বামী তিব্বতে গেছেন।
সংমাধ্যমটি আরও জানায়, সম্প্রতি এক সমাজকর্মী ভ্লাদিমিরের বাড়িতে তার শিশুদের খোঁজ নিতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওই মৃতদেহটি আবিষ্কার করেন। যদিও তার মৃতদেহটি মমি হিসেবে সুয়েতলানার কাছে ছিল। পরে ওই সমাজকর্মী বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মমিকৃত স্বামীর পায়ের কাছে একটি মিসরীয় ক্রস, ট্যারোট কার্ড, তাবিজ এবং পশুর খুলির ছবি খুঁজে পান।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর ধারণা করা হচ্ছে যে, তার স্ত্রীর মানসিক রোগ রয়েছে। বর্তমানে ওই নারী ও তার চার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রুশ তদন্ত কমিটি বলছে, মামলার যেকোনো অভিযোগ ফরেনসিক মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল এবং প্রয়োজনীয় যাচাইকরণ কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে করা হবে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ