নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকা না নেয়ায় প্রায় ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে বরখাস্ত করেছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ।
চলতি সপ্তাহে বিনা বেতনে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ফরাসি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে বেশিরভাগ কর্মীকেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। গত বুধবার কার্যকর হওয়া নতুন সরকারি নিয়মে ২৭ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীসহ দমকল বিভাগের কর্মী ও নার্সিং হোমের কর্মীদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রথমে ১২ জুলাই কর্মীদেরকে নোটিশ দিয়ে বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে কমপক্ষে এক ডোজ কোভিড টিকা নিতে হবে। তা না হলে শাস্তি হিসেবে কর্মীদেরকে বরখাস্ত করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় নিস শহরের মাত্র একটি হাসপাতালেই প্রায় ৪৫০ জন কর্মী বরখাস্ত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে হাসপাতালের বাইরে কর্মীদের বিক্ষোভও শুরু হয়েছে। দক্ষিণের আরেকটি শহরের হাসপাতালও জানিয়েছে, টিকা নেওয়া অ্যানেশথেটিস্ট স্বল্পতার কারণে তারা কম জরুরি কিছু অপারেশন বাতিল করছে। ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতালের দেয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বরখাস্ত হওয়া কর্মীর সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর প্যারিস হসপিটাল বৃহস্পতিবার তাদের ৩৪০ জন কর্মী বরখাস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। ছোট ছোট কিছু শহরের কয়েকটি হাসপাতালের কোনোটিতে একশ আবার কোনোটিতে তারও বেশি সংখ্যক কর্মী বরখাস্তের খবর জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রেস রিপোর্টে।
বৃহস্পতিবার ফরাসি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বেঁধে দেয়া সময় পার হওয়ায় ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী বরখাস্ত হয়েছে। তবে বেশিরভাগ কর্মীকেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর বেশ কয়েকজন টিকার পেছনে না দৌড়িয়ে বরং পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্স গত জুলাইয়ে কোভিড হেলথ পাস চালু করেছে। এর পর থেকে দেশটিতে অনেক মানুষই টিকা নিয়েছে। এতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের টিকা নেওয়া দেশগুলোর কাতারে চলে এসেছে ফ্রান্স। দেশটির প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৯০ শতাংশই এখন কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পেয়েছে। তাছাড়া, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদেরকেও টিকা দিতে শুরু করেছে ফ্রান্স।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ