ভারতে দিল্লির উত্তমনগর এলাকার এক বাসায় গত ৩০ জানুয়ারি নগদ অর্থসহ গহনা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান বাড়ির কর্তী কমলেশ নামে এক নারী।
কিন্তু পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ে। মূলত চুরির আগে সেখানে জোর করে প্রবেশের কোনও চিহ্নই খুঁজে পায়নি পুলিশ। আবার বাড়ির প্রধান দরজা এবং আলমারির তালাও ছিল অক্ষত। পুলিশের দলটি তখন এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং বোরকা পরা এক নারীকে সন্দেহজনকভাবে বাড়িতে ঢুকতে দেখে। একপর্যায়ে পুলিশের প্রযুক্তিগত তদন্তে ওই নারীকে আটক করা হয়। পরে জানা যায়, অর্থ ও গহনা চুরির দায়ে অভিযুক্ত বোরকা পরা ওই নারী বাড়ির কর্তী কমলেশের বড় মেয়ে ৩১ বছর বয়সী শ্বেতা।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তের মুখে এই অপরাধ করার কারণ শুনে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। কারণ, বোরকা পরে নিজের বাড়িতেই চুরি করেছেন তিনি! এমনকি লুট করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা ও বোনের বিয়ের গহনা। সুচারুভাবে পুরো কাজ সম্পন্ন করলেও পুলিশের হাত থেকে রেহাই মেলেনি ৩১ বছর বয়সী ওই নারীর।
এনডিটিভি বলছে, অভিযোগে কমলেশ দাবি করেন, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুর ২ টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তার বাড়ি থেকে লাখ লাখ অর্থ মূল্যের সোনা ও রূপার গহনা এবং নগদ ২৫ হাজারর রুপি চুরি হয়ে গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত এই নারী জানায়, তার মা তার ছোট বোনকে বেশি ভালোবাসতেন, তাই এই চুরির পরিকল্পনা করেন তিনি। মূলত সেই ঈর্ষা থেকেই তিনি নিজের বাড়িতে চুরি করেছেন। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়।
অভিযুক্ত এই নারী আরও জানিয়েছেন, তার অন্য জায়গায় কিছু টাকা ধার নেওয়া ছিল। সেই ধার পরিশোধের জন্য তিনি মায়ের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু মেলেনি। এদিকে, বোনের বিয়ের জন্য তার মা বেশ কিছু গহনা তৈরি করে রেখেছিলেন। তাই ধার পরিশোধের জন্য তিনি সেই বিয়ের গহনা এবং নগদ টাকা চুরি করতে বাধ্য হন।
অবশ্য বেশ ভালো পরিকল্পনা করেই শ্বেতা তার নিজের বাড়িতে চুরি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গত জানুয়ারি মাস থেকে তিনি আলাদা থাকতেন।
অভিযুক্ত শ্বেতা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গহনা বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে পুলিশ সেসব গহনা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ