জাপানে মুসলিমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। মাত্র লাখ দুয়েক মুসলিম নাগরিকের বাস দেশটিতে। দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২ কোটি।
জাপানি নাগরিকদের মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগই মৃতদেহ বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী কিংবা শিন্তো রীতি অনুযায়ী পুড়িয়ে ফেলে। কাজেই মুসলিমরা সেখানে কিছু বিধিনিষেধের মধ্যে আটকে গেছে। ইসলামে মরদেহ পোড়ানো নিষিদ্ধ এবং মুসলিমরা সাধারণত তাদের মরদেহ মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাফন করে থাকে। ফলে মরদেহকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী কবর দেওয়ার জন্য শত শত কিলোমিটার দূরে যেতে বাধ্য হয় অনেক পরিবার।
কিন্তু দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না জাপানের মুসলিম বাসিন্দাদের। তাদের আশঙ্কা, তাদের নিকটাত্মীয় কেউ মারা গেলে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী তাদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হতে পারে।
এ নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে দুশ্চিন্তার কথা বিবিসিতে প্রকাশ করেন পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত ও একজন জাপানি নাগরিক তাহির আব্বাস। তিনি বলেন, এই চিন্তায় আমি রাতে ঘুমাতে পারি না।
তিনি আরও বলেন বলেন, শেষকৃত্য হচ্ছে কোনও একটি মানুষের জন্য আপনি সর্বশেষ যা করতে পারেন সেই কাজ। আমি যদি আমার কোনও আত্মীয় বা বন্ধুকে মর্যাদাপূর্ণভাবে দাফন করতে না পারি, আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবো না।
দক্ষিণাঞ্চলের কিয়ুশু দ্বীপের ওইতা এলাকায় প্রথম মসজিদ স্থাপন করা হয় ২০০৯ সালে। কিন্তু সেখানে থাকা প্রায় দুই হাজার মুসলিমের জন্য একটি কবরস্থান স্থাপনের প্রক্রিয়া এখনও পরিকল্পনা পর্যায়েই আটকে রয়েছে।
জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত ইয়ামানাশি সমাধিস্থল খ্রিস্টান ও মুসলিমরা ব্যবহার করে। খ্রিস্টানরাও জাপানের একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দেশটির জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশের কিছু বেশি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
বেপ্পু মুসলিমরা তাদের স্বজনদের মরদেহ খ্রিস্টানদের একটি কবরস্থানে দাফন করতে পারে, তবে সেখানেও জায়গা ফুরিয়ে আসছে।
সূত্র: বিবিসি
নয়াশতাব্দী/ডিএ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ