ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা এবং ‘শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা’ ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে চার ইসরায়েলির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা কমিয়েছে ইসরায়েল।
যদিও ফিলিস্তিনিদের ওপর ওই বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া চার ইসরায়েলি হলেন- ডেভিড চাই চাসদাই, আইনান তানজিল, শালোম জিকারম্যান ও ইয়িনন লেভি। খবর বিবিসির।
এই চারজনই সেখানকার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী। তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক নির্বাহী আদেশে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় ওই চার ইসরায়েলি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পত্তি ও দেশটির আর্থিক ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
একইসঙ্গে, পশ্চিম তীরে সহিংসতা ‘অসহনীয় পর্যায়ে’ পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করা হয় মার্কিন ওই নির্বাহী আদেশে।
এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দাঙ্গায় নেতৃত্ব দেওয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ ভবন নির্মাণ, ভূমি দখল ও যানবাহনে আগুন ধরানো, বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা ও সম্পত্তির ক্ষতি করার কারণে তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করে একই দিনে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞাগুলো অপ্রয়োজনীয়।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজারে ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।
যদিও ওই নিষেধাজ্ঞার পর অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা অনেকটাই কমে এসেছে।
তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় চারমাস ধরে গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ১৯ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া হামলায় আরও ৬৬ হাজার ১৩৯ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ