ভারতের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি গোয়া সমুদ্র সৈকত। বিশেষ করে উপমহাদেশের নববিবাহিতরা হানিমুন উদযাপনের জন্য এ জায়গাটিকে পছন্দের শীর্ষে রাখেন। এমনই পরিকল্পনা ছিল মধ্যপ্রদেশের এক নবদম্পতির। কথা ছিল, হানিমুনে নববধূকে গোয়া নিয়ে যাবেন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গোয়ার টিকিট পেয়েই সৈকত দেখার আনন্দে দিন গুণতে শুরু করেন স্ত্রী। পরে দেখলেন গোয়া নয়, স্বামী তাকে হানিমুনে নিয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়।
এখানেই শেষ নয়, এমন কাণ্ডে স্বামীর উপর রেগে যান স্ত্রী। ডিভোর্স চেয়ে সরাসরি হাজির হলেন আদালতে। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা ভারতজুড়ে রীতিমতো আলোচনায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অযোধ্যায় হানিমুনে যান ওই নবদম্পতি। মাত্র পাঁচ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী কথা দেন, তাকে নিয়ে গোয়ায় হানিমুনে যাবেন। কিন্তু গোয়ার বদলে অযোধ্যায় যাওয়ায় হানিমুন থেকে ফেরার ১০ দিন পর গত ১৯ জানুয়ারি এক পারিবারিক আদালতে ডিভোর্সের আবেদন জানান তিনি।
গোয়ায় হানিমুন করার কথা বললেও অযোধ্যা এবং বারাণসীর বিমানের টিকিট কেনেন ওই স্বামী। স্ত্রীকে হানিমুনে যাওয়ার আগের দিন তিনি বলেন, অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে সেখানে ঘুরতে যেতে চেয়েছেন তার মা। এ কারণে গোয়ার বদলে অযোধ্যায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
ওই সময় কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে স্বামীর সঙ্গে অযোধ্যায় যান এবং সেখান থেকে ঘুরেও আসেন নববধূ। হানিমুন শেষ করে আসার পরই তিনি ডিভোর্সের আবেদন করেন। ডিভোর্সের আবেদনে নববধূ আরও অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রীর চেয়ে পরিবারের সদস্যদের বেশি গুরুত্ব দেন স্বামী।
বর্তমানে এ দুজনকে নিয়ে কাউন্সেলিং করছে ভোপালের একটি পারিবারিক আদালত।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ