ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়ে গেলেও প্রস্তাবিত মসজিদ নির্মাণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এতে মসজিদ নির্মাণকাজ কবে শেষ হবে আর তা কবেই বা উদ্বোধন হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। এ নিয়ে সেখানকার মুসলিমদের মধ্যেও অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে।
অযোধ্যায় আজ রাম মন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, মসজিদ নির্মাণের কাজ কবে শুরু হবে? এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)। সংগঠনের এক প্রবীণ সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মে মাস থেকে শুরু হবে মসজিদ তৈরির কাজ; যার নির্মাণ কাজ শেষ হতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে।
মসজিদ নির্মাণে অনুদান সংগ্রহ করার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি জানান, অনুদান সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করা হবে। মহানবি হযরত মুহাম্মদের (সা.) নাম অনুসারে এই মসজিদের নাম হবে ‘মসজিদ মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ’।
তবে এ অবস্থার পুরো উল্টো চিত্র অযোধ্যায় প্রস্তাবিত ধন্নিপুর মসজিদ নির্মাণের এলাকায়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, রামমন্দির উদ্বোধন হলেও প্রস্তাবিত মসজিদ নির্মাণের কাজ এখনও শুরুই হয়নি। যেখানে মন্দিরের আগে মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হবে এমনটা গুঞ্জন শোনা গেছে, সেখানে মসজিদের একটি ইটও গাঁথা হয়নি এখন পর্যন্ত। যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মুসলিমদের মনে। আদৌ মসজিদ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় তারা।
এর আগে ২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ করেন। একই সঙ্গে মসজিদ তৈরির বিকল্প জমি বরাদ্দ করার নির্দেশ দেন। এর পরপরই উত্তর প্রদেশ সরকার রামমন্দির থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুরে মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করে। যেখানে এখন মসজিদ নির্মাণের কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) মহাধুমধামের সঙ্গে ধর্মীয় রীতি মেনে পূজা-অর্চনার পর রামলালার মূর্তি উন্মোচন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার হাত দিয়ে রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়। উদ্বোধন ঘিরে পুরো অঞ্চলে যেন সাজ সাজ রব। মন্দিরের আশপাশের রাস্তাগুলোকে সাজানো হয়েছে নানা রঙে। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে ওয়াচ-টাওয়ার।
নয়া শতাব্দী/ডিএ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ