ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিরিয়ায় আইএস ও ইরাকে মোসাদের ঘাঁটিতে ইরানের হামলা

প্রকাশনার সময়: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫২ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

ইরানের কেরমান ও রাস্ক শহরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সিরিয়া-ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানার পাশাপাশি ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি গুপ্তচরবৃত্তির ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি আজ (মঙ্গলবার) ভোররাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথমে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের [আইএস] আস্তানাগুলো শনাক্ত করে সেগুলো লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। হামলায় জঙ্গিদের আস্তানাগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।

ইরানের কেরমান শহরে গত ৩ জানুয়ারির যে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ১০০ মানুষ নিহত হয় তার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ। কেরমানের হামলার কয়েকদিন পর ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাস্ক শহরের একটি থানায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ১১ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও অপর অন্তত ছয়জন আহত হন।

আইআরজিসি’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ার পর ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে চালানো হামলায় ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ইরানে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনার কাজে ওই ঘাঁটিটি ব্যবহৃত হচ্ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ ফ্রন্টের কয়েকজন কমান্ডারকে হত্যা বিশেষ করে সিরিয়ায় আইআরজিসি’র একজন কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই মোসাদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

আইআরজিসি জানায়, ইরাক ও সিরিয়ায় চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রমাণিত হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যেসব ঘাঁটিতে অপতৎপরতা চলে সেগুলো ইরানের নখদর্পণে রয়েছে। বিবৃতিতে ইরানি জনগণকে এই বলে আশ্বস্ত করা হয় যে, দেশটির স্বার্থে যে কেউ যেকোনো স্থানে আঘাত হানবে তাকে তার অপরাধের শাস্তি কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দেয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ