নারীরা বর্তমানে ঘরের বাইরে পুরুষদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে। বাইরের কাজ শেষে বাড়ির কাজের ভারটুকুও এসে পড়ে তাদের কাঁধেই। বাড়ির কাজে তাদের বেশিরভাগ পুরুষসঙ্গীরই থাকে যথেষ্ট অনীহা। আর তা নিয়েই জাপানের অর্ধেকেরও বেশি নারী তাদের স্বামীর ওপর বিরক্ত। তাদের স্বামীরা বাড়িতে যে পরিমাণ কাজ করেন তা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দেশটির ৫৫.৩ শতাংশ স্ত্রী। টোকিও-ভিত্তিক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান শুফু জব শোকেনের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবারের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
শুফু জব শোকেন এ বিষয়ে তাদের গবেষণা শুরু করেছিল তিন বছর আগে। গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন জাপানের প্রায় ৫১০ জন নারী। এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, জাপানের বেশিরভাগ নারীই তাদের স্বামীদের গৃহস্থালির কাজের পরিমাণ নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’। ১৫ শতাংশেরও বেশি নারী জানিয়েছেন, তাদের অংশীদাররা কোনো দৈনন্দিন কাজ করেন না।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৪০ শতাংশ নারী তাদের স্বামীরা শুধু ‘সামান্য সাহায্য’ করেন বলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ১৫.৫ শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের স্বামীরা কখনো রান্না করেন না, কোনো কিছু পরিষ্কারের কাজে অংশ নেন না অথবা বাচ্চাদের যত্ন নেন না।
তবে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ১৬.৭ শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের স্বামীরা ঘরের কাজ ‘যথেষ্ট’ করেছে এবং তারা তাদের প্রচেষ্টায় সন্তুষ্ট। অন্যদিকে ২৮ শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের পুরুষসঙ্গীরা ঘরের কাজে ‘অল্প কিছু সাহায্য করেন’। তবে তা নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
স্বামীদের ঘরের কাজ নিয়ে দক্ষিণ টোকিওর ইয়োকোহামা শহরের বাসিন্দা ফুমিও হায়াশি (৫১) জানান, তার স্বামী কাজ করেন একটি বড় গাড়ি প্রস্তুতকারকের কোম্পানিতে। স্বামীর পাশাপাশি হায়াশিরও দুটি খণ্ডকালীন চাকরি রয়েছে। অনেক সময়ই তিনি ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপরও বাড়ি থাকে রাতের খাবার প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে ঘর গোছানোর কাজও করতে হয়। এ বিষয়ে হায়াশি বলেন, ‘আমার স্বামী রান্না করেন না, কোনো কিছু ধোয়া অথবা ঘর পরিষ্কারের কাজ কখনোই করেন না। শুধু প্রতিদিন সকালে আবর্জনাগুলো বাইরে নিয়ে যান। কিন্তু আমি চাই তিনি আরও কিছু করুক।’
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ