তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে এখন টান টান উত্তেজনা। স্নায়ু যুদ্ধ দেখা যাচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও। তাইপের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না বলে বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এদিকে তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী প্রার্থী জয়ী হলে তা দ্বীপের জন্য গুরতর বিপদ বয়ে আনবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।
টান টান উত্তেজনা তাইওয়ানের নির্বাচন কে ঘিরে। এ ভোটের দিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। কৌশলগত কারণে এই দুই দেশের কাছেই স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটি খুব গুরত্বপূর্ণ। বর্তমানে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের উত্তেজনা তুঙ্গে। এই ভোটের ফলাফল চীনের সঙ্গে দ্বীপ রাষ্ট্রটির সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এবং একই সঙ্গে এই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে ও সারাবিশ্বের অর্থনীতিকেই প্রভাবিত করতে পারে। গত বুধবারই তাইওয়ানের আকাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় চিনের একটি স্যাটেলাইট। তাই ‘আক্রমণ’ সন্দেহে বেজে উঠেছিল ‘এয়ার রেইড সাইরেন।’গত কয়েকমাস ধরে চিন তাইওয়ানকে নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। কখনও ওই দ্বীপাঞ্চলকে রণতরী দিয়ে ঘিরে, কখনও ড্রোন উড়িয়ে, কখনও যুদ্ধের হুমকি দিয়ে।
লক্ষ্য একটাই, চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট চায় বেইজিং। কারণ বেইজিং মনে করে, তাইওয়ান তাদেরই। চীনের এই মনোভাব আঁচ করতে পেরেই কমিউনিস্ট দেশটিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, জিনপিং সরকারের কোনও রকম হস্তক্ষেপ তারা মেনে নেবে না। গত মঙ্গলবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের পর তাইওয়ান নির্বাচনে ওয়াশিংটনকে হস্তক্ষেপ না করার আহবান জানায় বেইজিং।
তাইওয়ানের বর্তমান শাসকদল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি ডিপিপি। প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বা তাঁর দল চীনপন্থি নন। তাই দলটিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা দিয়েছে বেইজিং। দলটিকে সরাতে চান জিনপিং। চীন সাইবার হানা দিতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে তাইওয়ান প্রায় সব রকম ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রেখেছে।
বন্ধ রাখা হয়েছে সব ব্যাংক। নির্বাচনের প্রচারে রাষ্ট্রপতি সাই বলছেন, তাইওয়ানের জনগণই ঠিক করুন তাঁদের ভবিষ্যৎ। তারা যুদ্ধ চান না শান্তি, সেই সিদ্ধান্ত মানুষ নেবে। নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন লাই চিং-তে। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চীনবান্ধব কেএমটি দলের হাউ ইউ-ইহর বিরুদ্ধে।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ