ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বড় সমর্থক ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীরা। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হামাসের সমর্থনে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। এসব হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত এলাকাগুলোয় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তারপরই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে এ হামলা চালানো হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭৯ দশমিক ২৫ ডলার হয়েছে। অন্যদিকে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৭৩ দশমিক ৮৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ডাইওয়া ক্যাপিটাল মার্কেটের হেড অব ইকোনমিক রিসার্চ ক্রিস সিক্লুনা রয়টার্সকে বলেন, আজ সকালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম পরিমিতভাবে বেড়েছে। যদিও তা এখন পর্যন্ত ৮০ ডলারের নিচে আছে। তবে মূল্যস্ফীতির দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগ তৈরি করবে না। তার কারণ মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক কিছু ঘটবে না বলেই তিনি মনে করেন।
গাজায় হামাসের সমর্থনে গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝিতে সুয়েজ খালের দক্ষিণ অংশ দিয়ে যাতায়াত করা বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেন ইয়েমেনের ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীরা। জাহাজগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সংযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস তাদের।
ইয়েমেনের কয়েকটি শহরে আজ ভোরে হামলা হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল-মোরতাদা এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘মার্কিন-জায়নবাদী-ব্রিটিশ আগ্রাসনকারীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হোদেইদাহ গভর্নরেট, সাদা ও ধামারে হামলা চালিয়েছে।’
ইয়েমেনে হামলার জেরে নতুন করে তেলের দাম বাড়লেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম গত সোমবার ৩ শতাংশের বেশি কমেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে তেলের সরবরাহে সংকটের আশঙ্কা করা হলেও বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব তেলের দাম কমায়। অন্যদিকে ওপেকে তেল উৎপাদন বাড়ায়।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ