জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গণহত্যা অভিযোগের জবাব দেবে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার এই মামলার প্রথমদিনের শুনানিতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একটি রাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন গণহত্যা অভিযান বলে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী ও প্রতিনিধিরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার বিচারকদেরকে ইসরায়েলকে অবিলম্বে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছিল দেশটি।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলছে, ইসরায়েলের আকাশ ও স্থলপথের নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এখন পর্যন্ত ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকা ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে। হামাসকে ইহুদি রাষ্ট্রকে নির্মূল করতে চাওয়া একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে ইসরায়েল। তারা বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের নয়।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি সামিরক বাহিনী। হামাসের ওই হামলায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হওয়ার দাবি করেছিল ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এসময় হামাস যোদ্ধারা ২৪০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
নাৎসি হলোকাস্টে ইহুদিদের গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন, গণহত্যাকে ‘একটি জাতীয়, জাতিগত, ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কাজ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ শুরু করার ফলে অঞ্চলটির প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দা অন্তত একবার তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। ফলে এতে একটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ