যুদ্ধ করার জন্য সম্পূর্ণ ফিট থাকা সত্ত্বেও যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেননি— তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা (ক্র্যাকডাউন) নিতে সংসদে একটি খসড়া বিল উত্থাপন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই বিলে সেনাবাহিনীতে যোগ না দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছিল।
তবে এই বিলের বিরোধীতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের এমপিরা। তারা বলেছেন, এতে যেসব শাস্তির ধারা আছে সেগুলো সংবিধান বিরোধী। মূলত সেনাবাহিনীতে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করতেই এই বিল তোলা হয়েছিল। রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত সেনাই পাচ্ছে না ইউক্রেন।
সংসদে উত্থাপিত খসড়া এ বিলে বলা হয়েছিল, যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়নি বা দেবে না তারা ‘কোনো সম্পত্তির মালিক হতে পারবেন না এবং স্বাধীনভাবে নিজ অর্থ খরচ করতে পারবেন না।’ এ বিষয়টি নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন এমপিরা। তারা বলেছেন, এটি নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীতে যাদের যুক্ত করা হবে তাদের ৩৬ মাস সার্ভিস দিতে হবে। তবে কয়েকজন এমপি এটি ৩৬ মাস থেকে কমিয়ে ১৮ মাস করার দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে সেনাবাহিনীতে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার বয়স ২৭ থেকে কমিয়ে ২৫ বছরে করার কথাও বলা হয়েছে এতে। গতমাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তাদের আরও সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ সেনা দরকার।
এছাড়া এই বিলে বলা হয়েছে, উপযুক্ত ব্যক্তিদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। বর্তমানে কাগজে চিঠি পাঠিয়ে এ কাজটি করা হয়। দুই বছর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলে ইচ্ছাকৃতভাবে হাজার হাজার মানুষ যুদ্ধে যোগ দেন। তবে এখন যুদ্ধ করার লোক পেতে বেগ পেতে হচ্ছে ইউক্রেনকে।
গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরোভ জানান, ইউক্রেনের যেসব নাগরিক বিদেশে বসবাস করছেন তাদের যুদ্ধে যোগ দিতে বলা হবে। তবে এটি কোনো বাধ্যতামূলক নির্দেশনা হবে না। এছাড়া যারা এ আহ্বানে সাড়া দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হবে না। সূত্র: বিবিসি
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ