ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

৫০০ বন্দির মুক্তি দিলো রাশিয়া-ইউক্রেন

প্রকাশনার সময়: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৫

আরব আমিরাতের মধ্যস্থতা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ২৩০ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা হয়েছে। বিনিময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ২৪৮ রাশিয়ানকে মুক্তি দেয়। গত আগস্টের পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এটিই প্রথম বড় কোনও বন্দি বিনিময়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমাদের লোকেরা বাড়িতে রয়েছে। আজ আমরা রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে ২০০ জনেরও বেশি যোদ্ধা এবং বেসামরিক নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছি।’

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে জানা যায়, ইউক্রেন এবং রাশিয়া প্রায় পাঁচশো যুদ্ধবন্দির মুক্তি দিয়েছে। কিয়েভের কর্মকর্তারা এটিকে যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যস্থতায় এই বন্দি বিনিময় করে উভয় দেশ। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্দি বিনিময়ের এই আলোচনা ‘কঠিন’ ছিল।বিবিসি বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে উভয় দেশ বেশ কয়েক দফায় বন্দি বিনিময় করেছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট গত মাসে বলেছিলেন, রাশিয়ার নিজস্ব ‘খুব নির্দিষ্ট কারণে’ এই প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে গেছে।

এদিকে বন্দিদের মুক্তির বেশ কিছু ছবি রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আলাদাভাবে পোস্ট করেছেন। মস্কোর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন রাশিয়ান বাসে হাসছেন।

ইউক্রেন বলেছে, তাদের মুক্ত করা সৈন্যদের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের পাথুরে দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডের সাতজন যোদ্ধাও রয়েছে। স্নেক আইল্যান্ড রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। মূলত সেখানে অবস্থানরত একজন সীমান্তরক্ষী রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ মোসভকার কাছে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে। এরপরই তাদের বীরত্বের কথা ছড়িয়ে পড়ে।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ