জাপানে সোমবার আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দেশটির ইশিকাওয়া ডিজেস্টার হেডকোয়ার্টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
একইসঙ্গে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেঅ জানানো হয়েছে।
এছাড়া ভেঙেপড়া অসংখ্য বহুতল ভবনের ধ্বংসাবশেষ, ধারাবাহিক আফটার শক এবং রাস্তায় বড় বড় ফাটল ধরার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
জেএমএ (জাপান মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি) জানিয়েছে, এদিন মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ১৫৫ বার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।
জেএমএ বলছে ভূমিকম্প গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালের দিকেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেএমএ।
ভূমিকম্পে সুজু শহরতলিতে প্রায় এক হাজার বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। এলাকাটিতে ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই দুর্যোগে আক্রান্ত অধিসাবীদের বাঁচাতে সময়ের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। সরকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য ইশিকাওয়াতে একটি জরুরি দুর্যোগ স্থানীয় রেসপন্স সদর দপ্তর স্থাপন করেছে।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে, ১৫৫টি ভূমিকম্পের প্রায় সবগুলোই রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার ওপরে। তীব্র ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্প উপদ্রুত ইশিকাওয়া প্রদেশে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস।এর আগে, সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে জাপানের নতো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে দেশটির রাজধানী টোকিও থেকেও কম্পন অনুভূত হয় বলে জানা গেছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রদেশের ওয়াজিমা বন্দরে।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ