পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র জাপানে একদিনে ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। জাপানের আবহাওয়া অফিসের বরাতে মঙ্গলবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস ও এনডিটিভি। এর আগে সোমবার জাপানের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী কম্পনসহ দেশটিতে মোট ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তীব্র ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। ঘটেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন হাজারের বেশি উদ্ধারকারী। এ কাজে যোগ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস বলছে, ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সোমবার ভূমিকম্পের পরপরই জাপানে 'বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা' জারি করা হয়। যদিও পরে সেটি কমিয়ে শুধু 'সুনামি সতর্কতা' করা হয়। এসময় পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সোমবার রাতে এক জরুরি বৈঠকের পরে বলেন, যে কোনো উপায়ে দুর্গত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য আমি জরুরি কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। জাপানে এখন তীব্র শীত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্লেন বা জাহাজ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পানি, খাবার, কম্বল, তেল, পেট্রোল, জ্বালানি তেল সরবরাহ করার জন্য আমি নির্দেশনা জারি করেছি।
এর আগে ২০১১ সালে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিলো জাপানের টোহুকু শহর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের ফলে ওই অঞ্চলে ১০ মিটার (৩৩ ফিট) উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে। সরকারি তথ্য মতে, সুনামিতে ১৩ হাজার তিনশ' ৩৩ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ১৫ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়। এছাড়াও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত ৪৮ লাখ মানুষ ।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ