কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। তাই অস্ত্রোপচার করে সেটি বাদ দিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন লুসিন্ডা মুলিনস নামের আমেরিকান এক নারী। অস্ত্রোপচারের সময় স্বাভাবিকভাবেই তাকে সংজ্ঞাহীন করে নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু জ্ঞান ফেরার পর নিজের অবস্থা দেখে ভাষা হারালেন নারী। দেখেন তার দুই পায়ের কোনোটিই নেই। হাঁটু থেকে কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা!
তাকে আরও জানানো হয়, তার জীবন বাঁচাতে কনুই থেকে দুই হাতও কেটে বাদ দিতে হবে। কিডনির চিকিৎসা করাতে গিয়ে পুরোপুরি বিকলাঙ্গ হয়ে গিয়েছেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ আগেই তার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছিল। পরে চিকিৎসকরা লুসিন্ডাকে জানান, তার কিডনির পাথরে সংক্রমণ হয়েছে এবং সেপটিক হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত অস্ত্রোপচার করা দরকার।
এরপরই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আর অস্ত্রোপচারের পর ওই দুঃসংবাদ পান তিনি। লুসিন্ডা বলেছেন, হাঁটু থেকে আমার দুই পা-ই আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমার দুই হাতও সম্ভবত কনুইয়ের নিচ থেকে কেটে ফেলতে হবে। যে ডাক্তার আমার চিকিৎসা করছেন, তিনি জানিয়েছেন, আমার জীবন বাঁচাতে তাদের যা করতে হয়েছে, তারা করেছেন। আর তার ফলেই আমি বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছি।
তবে, এই বিধ্বংসী খবরেও ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং জীবনমুখিতা হারিয়ে যায়নি লুসিন্ডার। প্রাথমিকভাবে অবশ্যই তাকে গ্রাস করেছিল দুশ্চিন্তা। পরে অবশ্য তিনি বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখা শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার এই নতুন পরিস্থিতির ফলে, তিনি এখন তার স্বামী এবং দুই ছেলের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারছেন।
তিনি বলেছেন, আমি যে বেঁচে আছি, তাতেই আমি খুশি। আমি আমার বাচ্চাদের সবসময় দেখতে পাচ্ছি। আমার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছি। স্বামীর সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটাতে পারছি। এগুলোকে ছোটখাটো বিষয় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু, এখন এটাই আমার জীবন। প্রতিটি দিন আমি মনে করি ঈশ্বরের আশীর্বাদ। তার অলৌকিক কাজকর্মের কোনো তুলনা নেই।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ