ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সমুদ্রের নিচে বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড়’ কবরস্থান

প্রকাশনার সময়: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৭ | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০১

পানির নিচে সারি সারি কঙ্কাল, জাহাজ! না কোনো পাইরেট কাহিনী বা গুপ্তধন রহস্যের উপন্যাস নয়। বাস্তবেই এমন স্থান রয়েছে সমুদ্রের অতলে। চাক দ্বীপপুঞ্জের কাছে সমুদ্রের তলদেশের সেই গায়ে কাঁটা দেওয়া দৃশ্যের ছবি দেখলে চমকে উঠবেন। ডুবে যাওয়া জাহাজের সেই ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, এটিই বিশ্বে পানির নিচে থাকা সবচেয়ে বড় কবরস্থান।

জাহাজ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রতলের গহীন অন্ধকার। সাদা বালি। আর তাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানব কঙ্কাল, জাহাজ, বিমানের ধ্বংসাবশেষ। আপাতত সেই ধ্বংসাবশেষ একত্রিত করে নির্দিষ্ট একটি স্থানেরাখার কাজ চলছে। শুধু তাই নয়। সমুদ্রের গভীর তলদেশে নৌ জাহাজ, জাপানি ট্রাক এবং পুরনো ড্রাইভিং স্যুটও মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো ইতিহাসের ধ্বংসলীলার প্রমাণ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার নানা ধ্বংসাবশেষ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থেকে গিয়েছে সমুদ্রের তলদেশে। এর মধ্যে কিছু ধ্বংসাবশেষ ‘অপারেশন হেইলস্টোনে’র সময় ডুবে যাওয়া জাহাজ ও বিমানের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই অপারেশনই যুদ্ধে ৪ হাজার ৫০০ জাপানি সৈন্যের মৃত্যু হয়। দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানে শত শত বিমান ও ডজন খানেক জাহাজ ডুবে যায়।

দুই দিনব্যাপী অপারেশন হেলস্টোন-এ ২৫০টি জাপানি বিমান ধ্বংস করা হয়। তাতে বিপুল সংখ্যক জাপানি সেনা নিহত হন। এছাড়াও এই যুদ্ধে ৪০ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়। পানিতে যে ধ্বংসাবশেষ মেলে, তা যুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজ ও বিমানের। পাপুয়া নিউ গিনি, ফিলিপাইনের উপকূলে এবং ইন্দোনেশিয়ার দিকেও সমুদ্রে এমনই ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে।

এছাড়াও পানির গভীরে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি ট্রাকের ধ্বংসাবশেষও রয়েছে। হকি মারু জাহাজের ধ্বংসাবশেষে এখনও গাড়ির টায়ার, হেডলাইট এবং ফ্রেমসহ অন্যান্য জিনিস মিলেছে। পানির নিচে পড়ে থাকা যুদ্ধবিমানের গায়ে আজ প্রবালের স্তর জমেছে। বিমানের অলিন্দে আজ সামুদ্রিক প্রাণীদের বাসা। ছবিতে মানুষের কঙ্কালও দেখা যাচ্ছে। চালকদের মধ্যে এই স্পটটি তাই বেশ জনপ্রিয়। তবে 'অভিশপ্ত' এই স্থান নিয়ে কুসংস্কারেরও অন্ত নেই। অনেকেই দাবি করেন, পানির গভীরে এই স্থানে আজও যুদ্ধে নিহত সেনাদের অতৃপ্ত আত্মা রয়ে গেছে।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ