কমেডিয়ান থেকে রাষ্ট্রনায়ক বনে যাওয়া জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধের আঘাতে ইউক্রেনের নাগরিকদের ব্যথা ও চাপ সহ্য করতে না হয়। এ থেকে পরিত্রাণের বড় উপায় হতে পারে মেডিক্যাল গাঁজা সেবন। তবে, গাঁজা ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের শর্ত এবং পদ্ধতির বিষয়টি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কতোদিন ধরে চলবে, এমনটা কোটি ডলারের প্রশ্ন হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অসম যুদ্ধটি দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, পুতিনের কৌশলই তাই। ইউক্রেনে সংঘাত যখন তৃতীয় বছরে গড়াতে যাচ্ছে, তখন এই কথা যেন আরও জোরেশোরে মিলতে শুরু করেছে। কিভাবে যুদ্ধে জিততে হয় তা বোধ হয় স্তালিনের দেশ রাশিয়ার চেয়ে বেশি কোন দেশ জানে বলে মনে হয় না। পশ্চিমাদের ওপর নির্ভর করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, বছরের মোড় ঘুরতে না ঘুরতেই দিশেহারা অবস্থায় ইউক্রেন। একদিকে সামরিক সহায়তার দরজা বন্ধ হবার পথে, অন্যদিকে যুদ্ধে ব্যাপক সেনা নিহত হবার কারণে রসদ ও মানব- উভয় সংকটে জেলেনস্কির দেশ। পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে, করণীয় কী, সেটা ঠিক করতে দিশেহারা অবস্থায় আছে কিয়েভের কর্তা ব্যক্তিরা।
কোন উপায় না দেখে, নাগরিকদের গাঁজা সেবনে উৎসাহিত করতে চাইছে ইউক্রেন। কেন এমন অভিনব পরিকল্পনা, কি হবে গাঁজা সেবন করলে, এমন সব প্রশ্নের আগে খবরটা জানা দরকার আগে। রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধ থেকে সৃষ্ট মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্যই ইউক্রেনের মেডিক্যাল বোর্ড গাঁজা সেবন বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে। সেই ঘোষণায় ব্যাপক হারে গাঁজা চাষের নির্দেশনা দিয়েছে কিয়েভ। অর্থাৎ, যুদ্ধের এই সময়ে শুধু সেনারাই নয়, ইউক্রেনের নাগরিকরাও গাঁজা সেবনের অনুমতি পাবেন।
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্করা ব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং উদ্বেগ এবং হতাশার মতো মানসিক রোগের হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত গাঁজা খাওয়া যেতে পারে। পরিমিত গাঁজা সেবনে আরও কিছু উপকার হতে পারে বলা হচ্ছে। বিশেষ করে কিছু ধরনের স্নায়ুরোধ থেকে পরিত্রাণ দেবে গাঁজা। দীর্ঘ যুদ্ধে ক্লান্ত ইউক্রেনিয় সেনাদের মনোবল চাঙ্গা রাখতেই এবার গাঁজা চাষের ব্রত নিয়েছেন জেলেনস্কি।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ