জাপানের বেশ কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরপর মাত্র ৯০ মিনিটের ব্যবধানে ২১ বার কেঁপে উঠেছে দেশটির উপকূলের বিভিন্ন এলাকা। প্রতি ক্ষেত্রেই রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ বা তার বেশি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৬ মিনিট থেকে ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যে এই ভূ-কম্পনগুলো অনুভূত হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উপকূল সংলগ্ন একাধিক শহরে সুনামি দেখা গিয়েছে। ফুঁসে উঠেছে সমুদ্র। অন্তত পাঁচ মিটার পর্যন্ত ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর।
এদিন জাপানের পশ্চিম উপকূলে তীব্র ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত ৩০ সেকেন্ড কম্পন অনুভূত হয়। তার পরেই দেশের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর।
ভূমিকম্পের তীব্রতায় কম্পনের কেন্দ্র জাপানের ইশিকাওয়া প্রদেশে একাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ সংযোগও ব্যাহত। রাজধানী টোকিয়োতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন এবং একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সুনামি নিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর সঠিক তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সমুদ্র সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নিতে হবে। ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাণহানি যাতে না ঘটে সেই বিষয়টিই অগ্রাধিকার দেবে জাপান সরকার।
তবে সুনামি এবং ভূমিকম্পের ফলে দেশটিতে কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এদিকে, জাপানের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলেও কিছু কিছু জায়গায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির প্রশাসন। রয়টার্স জানিয়েছে, ভ্লাদিভোস্টক এবং নাখোদকা শহরে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার শাখালিন দ্বীপ থেকে ইতোমধ্যেই বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জাপানে সুনামির ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দপ্তরও সে দেশের পূর্ব উপকূলে সুনামি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ