বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা মিলছে না তালেবানের দুই শীর্ষনেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও মোল্লা আব্দুল গনি বরাদারের। এই দুই নেতার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে গুজব উঠেছে তারা অসুস্থ হয়ে কিংবা হামলার শিকার হয়ে মারা গেছেন। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুজনই জীবিত আছেন।
গত বছরের জুনে তালেবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলি জান আহমেদ ফরেন পলিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আখুন্দজাদা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তিনি সুস্থতার দিকে রয়েছেন।
কাবুল বিজয়ের পরও আখুন্দজাদার অনুপস্থিত থাকায় তালেবানের সূত্রের বরাত দিয়ে ফরেন পলিসি জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আখুন্দজাদা মারা গেছেন।
চলতি সপ্তাহে গুঞ্জন ওঠে আখুন্দজাদার পরেই দলে যার অবস্থান, সেই আব্দুল গনি বরাদার অন্তর্কোন্দলে নিহত হয়েছেন। সরকরে থাকা হাক্কানি নেটওয়ার্কের সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সমর্থকদের সঙ্গে বরাদারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সংঘর্ষের জেরে পরিচালিত হামলায় নিহত হয়েছেন বরাদার। অবশ্য তালেবানের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে এই তথ্য অস্বীকার করা হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র সুলাইল শাহিন জানিয়েছেন, আব্দুল গনি বরাদার অডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি মৃত্যু কিংবা আহত হওয়ার গুজবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তালেবানের পক্ষ থেকে বরাদারের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, গোষ্ঠীটির অন্যতম এই শীর্ষনেতা কান্দাহারে বৈঠক করছেন।
দলীয় প্রধানদের মৃত্যুর তথ্য নিয়ে লুকোচুরি করা তালেবানের জন্য নতুন কিছু নয়। তাই আখুন্দজাদা ও বরাদারের পরিস্থিতি নিয়ে শেষ পর্যন্ত গুজবই সত্যি হয় কিনা জানতে হলে খোদ তালেবানের বিবৃতির জন্যই অপেক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, জনসম্মুখে কিংবা সংবাদ সম্মেলনে হাজির না থাকা তালেবানের শীর্ষনেতাদের অনেক পুরোনো রীতি। তারা অনেকটা ছায়ার মতো থাকেন। খোদ দলের পক্ষ থেকেই তাদের অবস্থান নিয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হয় না। যার ফলে তাদের জীবিত বা মৃত্যু সম্পর্কে কেবল দলের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা না হলে বেশি কিছু জানা সম্ভব হয় না। সাবেক শীর্ষনেতা মোল্লা ওমর মারা যাওয়ার দুই বছর পর তালেবান তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ