ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠছে লোহিত সাগরের ‘নাটক’

প্রকাশনার সময়: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫২ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৪২

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠছে লোহিত সাগরের ‘নাটক’। ফিলিস্তিনদের সমর্থনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী হুতি দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গেলো তিন দিনের মধ্যেই দুইটি জাহাজে হামলা চালিয়ে তারা। এর মধ্যে দুটো জাহাজ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে।

অবস্থা বেগতিক দেখে লোহিত সাগর এড়িয়ে চলার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের সব শিপিং জায়ান্ট। এতে বড়ই বিপদে পড়ে যায় ইসরাইল। হাত বাড়ায় আমেরিকার দিকে। হুতিদের হটানোর কথা বলে। ইসরাইল বলে কথা। শেষ পর্যন্ত জো বাইডেনের প্রশাসন হুতি বিরোধী নতুন সামরিক জোটের ঘোষণা দেয়।

কিন্তু সেই জোট কার্যত কাগজ-কলমেই থেকে গেছে। প্রায় দেড়শ’ দেশকে আমন্ত্রণ জানালেও শেষ পর্যন্ত সেই জোটে যোগ দিতে রাজি হয় মাত্র দশ দেশ। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইলি জাহাজকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সেই যৌথ টাস্কফোর্স থেকে এরিমধ্যে ছেড়ে চলে গেছে ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালি।

দেশ তিনটি সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘ, ন্যাটো জোট বা ইইউ’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। তবে এককভাবে আমেরিকার সাথে জোট করতে নারাজ। এই ঘটনাকে আমেরিকা জন্য বড় রকমের ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় নৌ চলাচলের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এবং এরইমধ্যে ওই অঞ্চলে কাজ করেছে। তবে, এখন থেকে জাহাজগুলো ফরাসি কমান্ডের অধীনে থাকবে। আমেরিকা নৌবাহিনীর নির্দেশ মানতে নারাজ।

আর ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইতালিয় জাহাজ মালিকদের সুনির্দিষ্ট অনুরোধে সাড়া দিয়ে শুধুমাত্র জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় নৌবাহিনীর ফ্রিগেট ভার্জিনিও ফাসানকে লোহিত সাগরে পাঠাবে। ইতালি বলেছে, তারা লোহিত সাগরে সম্প্রতি যে তৎপরতা চালিয়েছে তা মার্কিন নেতৃত্বাধীন নৌ জোটের অংশ ছিল না।

অন্যদিকে, স্পেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও প্রায় একই সূরে কথা বলেছে। সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে, তারা শুধুমাত্র ন্যাটো নেতৃত্বাধীন অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমন্বয়ে কোন অভিযানে অংশ নেবে। তারা লোহিত সাগরে একতরফা কোন কার্যক্রমে অংশ নেবে না। অর্থাৎ, পেন্টাগনকে না বলারই শামিল।

এর আগে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন দাবি করেছিলো, ২০টিরও বেশি দেশ মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সে যোগ দিতে রাজি হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই টাস্ক ফোর্স যে কার্যক্রম শুরু করেছিল তাতে আমেরিকার পাশাপাশি ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেন অংশ নেয়।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ