মালদ্বীপ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে ভারত সরকার। রোববার (০৩ ডিসেম্বর) দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু এই কথা নিশ্চিত করেছেন।
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতি পরিবর্তন করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে ও প্রায় ৭৫ সদস্যের একটি ছোট ভারতীয় সামরিক উপস্থিতি অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আলোচনায় ভারত সরকার তাদের সেনা অপসারণে সম্মত হয়েছে। আমরা উন্নয়ন প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতেও সম্মত হয়েছি।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনার পরে মোহামেদ মুইজ্জু এই মন্তব্য করেছেন। ভারত মালদ্বীপকে কিছু সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ, দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা ও সেখানে একটি নৌ ডকইয়ার্ড তৈরিতে সহায়তা করেছে।
নয়া দিল্লিতে ভারতের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই ভারতের সহায়তার গুরুত্ব স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, মালদ্বীপ এই (ভারতীয়) প্ল্যাটফর্মগুলোর উপযোগিতা স্বীকার করেছে... কীভাবে তাদের সচল রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ভারত ও চীন এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মুইজ্জুকে চীনপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারত মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি ডর্নিয়ার বিমান দিয়েছিল। এগুলা পরিচালনার জন্য বেশিরভাগ ভারতীয় সামরিক কর্মী দ্বীপটিতে ছিলেন।
গত মাসে শপথ গ্রহণের সময় মুইজ্জু বলেছিলেন, তিনি নিশ্চিত করবেন যে তার দেশে কোন বিদেশি সামরিক উপস্থিতি নেই।
নয়া শতাব্দী/এমবি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ