ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায় হামাস

প্রকাশনার সময়: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫২ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৬

ইসরায়েলের বোমা হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় চলমান চারদিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, চলমান চার দিনের যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে গতকাল গাজার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হামাস জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এর মেয়াদ বাড়ানো হোক।

গত শনিবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সিএনএন'কে বলেন, 'যুদ্ধবিরতি চুক্তিতেই এর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ দেওয়ার কথা বলা আছে। তাই বাকিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের দেড় মাস পেরোনোর পর গত শুক্রবার থেকে চার দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়।

উভয়পক্ষকে, বিশেষ করে হামাসকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আনতে বিশেষ কূটনৈতিক ভূমিকা রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কাতার। হামাসের উচ্চপর্যায়ের নেতারা গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ প্রসঙ্গে সিএনএনকে বলেন, ‘চারদিনের যুদ্ধবিরতির ফলে জিম্মিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যে গতি এসেছে, সেটি অব্যাহত রাখতেই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো জরুরি। আমরা আশা করছি, সবাই এ ব্যাপারটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবেন।’

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তিতে যে শর্ত আছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ, বাড়তি মেয়াদে প্রতিদিন হামাসকে ১০ জিম্মি মুক্তি দিতে হবে।

চুক্তি অনুসারে, চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ৫০ জিম্মি ও ইসরায়েল ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।

আজ বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪০ জিম্মি ও ১১৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ