সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করার অভিযোগে ২৩ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। রয়টার্স জানায়, সিডনির একটি ব্যস্ততম সড়ক আটকে বিক্ষোভ করার কারণেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ২৩ জনকে। যে সড়কটিতে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন— সেটি সিডনির পোর্ট বোটানি নামের একটি সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত।
পোর্ট বোটানি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর মধ্যে একটি। আজ বুধবার দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনিতে ঘটেছে এই ঘটনা। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পোর্ট বোটানি সংলগ্ন মূল সড়কটিতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রায় ৪০০ মানুষ। এ সময় তারা সড়ক বন্ধ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ফিলিস্তিনের পতাকা নাড়াচ্ছিলেন এবং গাজায় অভিযানের জন্য ইসরায়েলের নিন্দা জানাচ্ছিলেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচির জন্য পুলিশের অনুমতি নেন নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু লোকজন তাদে কর্ণপাত করেননি। পরে এক পর্যায়ে পুলিশ সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সে সময় এই ২৩ জনকে গ্রেপ্তার হন। তাদের বিরুদ্ধে বন্দরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বস্তুত, গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বাঁধার পর থেকেই বিশ্বের দেশে দেশে ইসরায়েলের পক্ষে ইহুদি এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন। গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
হামাসের এই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। -রয়টার্স
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ