একই সাথে দুই তরুণীর সঙ্গে প্রেম। অবশ্য এক প্রেমিকা অন্যজনের কথা জানতেন না। একপর্যায়ে ত্রিমুখী এই প্রেমের কথা জানাজানি হলে দুই প্রেমিকার কেউই প্রেমিককে ছাড়তে রাজি হননি। অবশেষে পঞ্চায়েতরা বের করলেন এক অভিনব পদ্ধতি। টস করে নির্ধারণ করা হলো কে হবেন ওই যুবকের কনে।
সম্প্রতি এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের সকলেশপুর গ্রামে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, বছর খানেক আগে সাকলেশপুরের এক যুবকের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সমস্যা শুরু হয় ছয় মাস আগে। প্রেমিক-প্রেমিকার জীবনে আবির্ভাব ঘটে তৃতীয় ব্যক্তির।
ওই যুবক তার প্রেমিকাকে লুকিয়ে অন্য একটি গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ করেন। পরে তাদের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর থেকে দুজনকেই আলাদা করে সময় দিতেন এবং দুই প্রেমিকার অজান্তেই এই কাজ করতেন সেই যুবক।
কিন্তু সত্য আর কতদিন চাপা থাকে! যুবককে দ্বিতীয় প্রেমিকার সঙ্গে দেখে ফেলেন তার প্রথম প্রেমিকার এক আত্মীয়। এই কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বেশ বিপাকে পড়েন প্রেমিক। তবে তিনি পরিবারকে জানিয়ে দেন, দ্বিতীয় প্রেমিকাকেই বিয়ে করতে চান। কিন্তু প্রথম প্রেমিকাও নাছোড়বান্দা।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রেমিকার বাবা-মা ওই যুবকের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে। দুই তরুণীই ওই যুবককে বিয়ে করতে জেদ ধরে বসেন। অবমেশে পঞ্চায়েতরা বের করলেন এক অভিনব পদ্ধতি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ