দু’সপ্তাহের অবরোধে আটকে থাকার পর অবশেষে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাক।
শনিবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
রাফাহ ক্রসিং থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘আমরা ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সামগ্রীবাহী প্রথম ট্রাকটিকে গাজায় প্রবেশ করতে দেখেছি।’
আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রেড ক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মিশর শাখার বরাত দিয়ে একই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপিও।
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেয়া এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আজ রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ পণ্যবাহী ২০টি ট্রাক প্রবেশের কথা রয়েছে। এসব ট্রাকে ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও সীমিত পরিমাণে ক্যানজাত খাবার রয়েছে।’
রাফাহ ক্রসিং কতক্ষণ খোলা থাকবে তা স্পষ্ট নয়। এর আগে ইসরায়েল ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় প্রবেশ করা ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাকে খাদ্য, পানি ও ওষুধ থাকলেও কোনো জ্বালানি যাচ্ছে না।এর আগে, মিশর বলেছিল পাঠানো ত্রাণসামগ্রী যেন শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্যই ব্যবহৃত হয়, তার নিশ্চয়তা করতে হবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মতে, গত ১৪ দিনের সংঘর্ষে অন্তত ১০ লাখ গাজাবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের জন্য দৈনিক অন্তত ১০০ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজন।
কায়রো বহু বছর ধরে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে চলাচলের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ করছে। এই কড়াকড়ির কারণে অনেক ফিলিস্তিনির অভিযোগ, মিশর গাজার উপর ইসরায়েলের অবরোধকেই জোরদার করছে। হামাস ২০০৭ সালে উপত্যকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে উপত্যকার ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল।
বিবিসি বলছে, রাফা ক্রসিংয়ে মিশরের এই নিয়ন্ত্রণ মূলত উত্তর সিনাইয়ের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে। মিশরীয় কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে আল কায়েদা সম্পৃক্ত বিদ্রোহীদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িত।নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ