ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা হিসেবে গত রোববার (১৫ অক্টোবর) রিয়াদে সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কিন্তু বৈঠকটি করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে সেদিন বৈঠক করতে ব্যর্থ হয়ে পরদিন রোববার সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান তিনি।
বৈঠকটি মূলত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে সৌদির সমর্থন যোগাতে ব্লিঙ্কেনের প্রচেষ্টার অংশ ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন গাজায় চালানো ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করেছেন। তবে এই সংঘাতে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।
সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত নিউজ এজেন্সি এসপিএ জানিয়েছে, বৈঠকে যুবরাজ সালমান গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নেয়াসহ সংঘাত প্রশমনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে চলমান যুদ্ধে যাতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হয় সেটির প্রতিও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
এছাড়াও ব্লিঙ্কেনকে যুবরাজ সালমান চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় রিয়াদের চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেন।ওপেক প্লাস দেশগুলো গত বছর জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর পরিণতি ভোগ করার হুমকি দেন। এর বিপরীতে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানও অপ্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদির সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির একধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও কূটনীতিতে আগের মতো গুরুত্ব পাচ্ছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ