ফিলিস্তিন-মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার গাজায় ঢুকবে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক। এদিন সকাল থেকে ট্রাকগুলো সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কথা। তবে তারা এ-ও বলেছেন, ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য মিসরকে আগে রাস্তা মেরামত করতে হবে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা দ্য গার্ডিয়ানকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় সীমান্তের ওপারের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রাস্তা মেরামত জরুরি। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার সকাল থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢোকা শুরু হবে।
উত্তর সিনাই রেড ক্রিসেন্টের প্রধান খালিদ জায়েদ বলেন, মিসরের সঙ্গে গাজার একমাত্র সংযোগস্থল রাফাহ ক্রসিংয়ে ২০০টিরও বেশি ট্রাক এবং প্রায় তিন হাজার টন ত্রাণ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ২০টি ট্রাককেই শুধু প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
এর আগে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হন। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে এরমধ্যেই একটি বিমান উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। রাফাহ সীমান্তের কাছে জ্বালানি ও মানবিক সহায়তাসামগ্রী বহনকারী কয়েক ডজন ট্রাক এখন গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায়।
গাজার উত্তরাঞ্চলের ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আক্রমণ করে হামাস। এ ঘটনার পর সীমান্তটি বন্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ফলে রাফাহ সীমান্তটিই এখন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফাহ এখন গুরুত্বপূর্ণ। রাফাহ ক্রসিং মিসরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্তপথ যেটি গাজার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত।
গাজা থেকে বের হওয়ার আরো দুটি সীমান্তপথ আছে। কিন্তু সেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটোই এখন বন্ধ। ফলে রাফাহ ক্রসিং এখন গাজার উদ্বাস্তুদের একমাত্র ভরসা। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সীমান্তটি মিসর বন্ধ করে দিয়েছিল।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ