আফগানিস্তানে তালেবান বিরোধীদের শেষ ঘাঁটি পঞ্জশিরও দখলে নেওয়ার দাবি করেছেন দেশটির নতুন শাসকরা। কাবুল দখলের সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে গোটা দেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এবার তাদের লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন।
এদিকে, অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দ পরবর্তী আফগান সরকারের নেতৃত্বে আসতে পারেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। আকুন্দ জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকা রয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের নাম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শোনা যাচ্ছিলো। এরইমধ্যে নতুন করে জানা যাচ্ছে, সরকার প্রধান হচ্ছেন মোল্লা হাসান আকুন্দ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়-, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাই সরকার প্রধান হিসেবে হাসান আখুন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন। গতকাল সোমবার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত হয়। আগামীকাল বুধবার কাবুলে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০০১ সালে কাবুলে তালেবান সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গঠিত তালেবান ‘কোয়েটা সুরা’র নেতৃত্বে ছিলেন হাসান আকুন্দ। আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত হাসান আকুন্দ তালেবানের শান্তি আলোচনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘রেহবারি সুরা’র প্রধান ছিলেন।
এদিকে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্যদেরকে নতুন সরকার ও প্রশাসনের অধীনে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। সোমবার তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ