আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে নিজেদের হাতে নেয়ার পর তালেবান জানিয়েছিলো তারা শরীয়া বা ইসলামী আইনের ভিত্তিতে দেশটি শাসন করবে।
এদিকে, দেশটির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে পূর্ণ মুখঢাকা বোরখা পরতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে তালেবান। এছাড়া লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণিকক্ষ ভাগ করতে হবে, অন্ততপক্ষে শ্রেণিকক্ষে নারী ও পুরুষদের বসার স্থান পর্দা দিয়ে বিভক্ত করতে হবে।
তালেবানের শিক্ষা কর্তৃপক্ষের জারি করা দীর্ঘ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের দায়িত্বে কেবল নারী শিক্ষকই থাকবেন। তবে যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয়, তাহলে ভালো চরিত্রের ‘বৃদ্ধ পুরুষ’ সেই দায়িত্ব পালন করবেন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের প্রথম দফার ক্ষমতার মেয়াদে নারী শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর তালেবান জানিয়েছে, তারা নারী শিক্ষা বন্ধ করবে না।
সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) থেকে আফগানিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা হচ্ছে।
তালেবানের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাদের সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও বর্হিগমন পথ থাকতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ