ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন নিহত

প্রকাশনার সময়: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ২৩:৩৪ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ২৩:৫২
ফাইল ছবি

রাশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনসহ ১০ জনের নিহত হয়েছে।- খবর বিবিসি

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ১০ জনই ছিলেন। রাশিয়া যে ১০ জন নিহতের তালিকা দিয়েছে তাতে ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের নাম রয়েছে।

এর আগে ওয়াগনার ঘনিষ্ঠ একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানিয়েছে যে মস্কোর উত্তরে তেভর অঞ্চলে বিমানটিকে গুলি করে নামানো হয়।

গেল জুনে প্রিগোজিন রুশ সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন; যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। এরপর আড়ালে চলে যান ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। তার প্রায় এক মাস পর জুলাইয়ের ২০ তারিখে প্রথমবারের মতো তার জনসম্মুখে আসার খবর পাওয়া যায়।

তার এক মাস যেতে না যেতেই এবার তার মৃত্যুর খবর এলো।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার প্রিগোজিনকে বহনকারী ওই ফ্লাইট রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিল।

রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত আরোহীদের একজনের নাম প্রিগোজিন। তবে ওই দুর্ঘটনা নিয়ে আর কোনো তথ্য জানাননি তাঁরা।

ওয়াগনার প্রধান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোজিনের।

এ অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে গত ২৩ জুন। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোজিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন ওয়াগনারের যোদ্ধারা। ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি।

প্রিগোজিনের বিদ্রোহের জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। পরবর্তী সময়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোজিনসহ ওয়াগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন।

বিদ্রোহের পর ওয়াগনার সেনারা বেলারুশে চলে যান। তবে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের অবস্থান নিয়ে জল্পনাকল্পনা রয়ে যায়। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, তিনি বেলারুশে আছেন। এমনকি তাঁর রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে দেখা করার খবরও জানা যায়। কিন্তু কখনোই প্রকাশ্যে আসেননি তিনি।

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ