আফগানিস্তানে সরকার গঠনের পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা থেকে সরে এসেছে তালেবান। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় এ প্রক্রিয়া স্থগিত করলো সংগঠনটি। শনিবার সরকার (০৩ সেপ্টেম্বর) সরকার গঠনের কথা ছিল। এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সরকার গঠনের কথা থাকলেও তা হয়নি।
এদিকে, দলের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে নতুন সরকারের ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে দফায় দফায় বিষয়টি স্থগিত করা বা পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে কোনও ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
সরকার গঠনে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য তালেবান কর্তৃক গঠিত কমিটির সদস্য খলিল হাক্কানি বলেছেন, কাবুলে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য তালেবানের প্রস্তাবই প্রকৃতপক্ষে এই বিলম্বের কারণ।
খলিল হাক্কানি আরো জানিয়েছেন, তালেবান নিজেদের নিয়েই সরকার গঠন করতে পারত। তবে তারা এখন এমন একটি সরকার গঠনের দিকে মনোনিবেশ করছে যেখানে সমাজের সব দল এবং গোষ্ঠী যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
এক টুইটার পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, তালেবানরা নিরাপত্তা আনতে সক্ষম কিন্তু কার্যকরী সরকার পরিচালনার জন্য তরুণ, শিক্ষিত আফগানদের অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। তথাকথিত প্রবীণ রাজনীতিবিদদের পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া উচিত যেন বিগত জোট সরকারের ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি না হয়।
এদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষ হলেও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তালেবানের খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই। তাছাড়া দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠনের ক্ষেত্রে নিজেদের জনপ্রিয় প্রমাণেরও চেষ্টা করছে তালেবান। এরই মধ্যে নিজেদের কঠোর মনোভাব থেকে সরে আসারও ঘোষণা দিয়েছে রক্ষণশীল সংগঠনটি। এমনকি প্রথম দফার শাসনামলে নারীদের শিক্ষাদীক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও এবার সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সবকিছু মিলিয়ে সরকার গঠন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসা তালেবান মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর হাতে ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ