কাশ্মীরের বিশ্বের সকল মুসলিমদের পক্ষে তালেবানের কথা বলার অধিকার রয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির মুখপাত্র সুহেইল শাহীন। তার ওই মন্তব্যে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
গত বৃহস্পতিবার বিবিসি উর্দুতে তালেবান মুখপাত্রের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোনো দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তোলার নীতি সংগঠনটির নেই।
এ প্রসঙ্গে সুহেইল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্তাবলী উল্লেখ করেন। তবে মুসলিম হিসেবে তালেবানের কাশ্মীরি মুসলিমদের পক্ষে আওয়াজ তোলার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সুহেইল বলেন, মুসলিম হিসেবে তালেবানের অধিকার রয়েছে কাশ্মীর, ভারত বা অন্য যেকোনো দেশের মুসলিমদের জন্য আওয়াজ তোলার। আমরা আওয়াজ তুলব এবং বলব, মুসলিমরা আপনাদের নিজেদের লোক, নিজেদের নাগরিক। তারাও আপনাদের আইনে সমান অধিকারের অধিকারী।
তালেবান মুখপাত্রের এ মন্তব্যের বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর নতুন সরকারের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তালেবান। সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গানি বারাদারের নেতৃত্বেই গঠিত হচ্ছে আফগানিস্তানের নতুন সরকার। তালেবানের একাধিক সূত্রের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জানা গেছে, তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান বারাদারের পাশাপাশি সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব এবং শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই থাকছেন নতুন সরকারের উচ্চ পদে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ