মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী পিছু হটার পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নেয় তালেবান। এর মাধ্যমে ২০ বছরের এক দীর্ঘ যুদ্ধের অবসানের সাথে সাথে দেশটিতে চরম অর্থনৈতিক সংকট এবং ব্যাপক খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দেশটিতে এক মাসের মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়কারী রামিজ আলাকবারোভ জানান, দেশটির অর্ধেকের বেশি শিশু বর্তমানে এক বেলা খাওয়ার পর পরের বেলায় খাবার পাওয়ার অনিশ্চয়তায় রয়েছে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে তীব্র অর্থ সংকটে রয়েছে আফগানরা। সংকট এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও আইএমএফের কাছে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ থেকে অর্থ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দ্য আফগানিস্তান ব্যাংকের ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশিরভাগ অর্থই দেশের বাইরে রয়েছে।
সাহায্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি, কানাডাসহ আরো অনেক ইউরোপীয় দেশ। দারিদ্র্য, বেকারত্ব আর দুর্বল অবকাঠামোর আফগানিস্তানের জন্য এটি বড় সংকটেরই পূর্বভাস বলা যায়। তবে পশ্চিমারা যখন মুখ বাঁকা করে চেয়ে আছে তখন তালেবানকে কাছে টানছে প্রতিবেশী চীন।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ইতালীয় একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার এবং দেশ দখলের পর এখন তারা প্রাথমিকভাবে চীনের অর্থায়নের ওপর নির্ভর করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার তার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ইতালির দৈনিক লা রিপাবলিকা। এতে তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক স্বাভাবিকতায় প্রত্যাবর্তনের জন্য চীনের সহায়তায় লড়াই করবে তালেবান।
এদিকে, শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ফজরের নামাজের পরই আফগানিস্তানের নতুন সরকার ঘোষণা আসতে পারে। তালেবান নেতা আহমাদুল্লাহ মুত্তাকি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে।
টুইটে তিনি লিখেছেন, তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আসন্ন অনুষ্ঠানের জন্য প্রেসিডেন্ট ভবনে সব বন্দোবস্ত করছে। আসন্ন অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের ঘোষণা করা হবে। তার টুইটে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
তবে এবার তারা আগেরবারের চেয়ে নিজেদের শাসননীতিতে নমনীয়তা আনার ইঙ্গিত দেয়।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ