ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রক্ষণ্যম জয়শঙ্করকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং উই। এশিয়ার এ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার বিশাল সীমান্তে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই সম্পর্ক জোরদারের এ আহ্বান জানালেন তিনি।
শনিবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা নয়টার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বিশাল এ সীমান্তে সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে । তবে চলমান এ উত্তেজনা নিরসন করে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রবিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াং উই।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের এক পার্শ্ববৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আসিয়ান সম্মেলনে ভারত-চীনসহ অন্য দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। এ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন চীনের ওয়াং উই। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৈঠকে শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং উই ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করেকে বলেছেন যে, সন্দেহমূলক সম্পর্কের পরিবর্তে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
২০২০ সালে সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে ভারতের ২০ ও চীনের ৪ সেনা নিহত হয়। এ নিয়ে দু দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। এ ইস্যুতে সামরিক ও শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে উত্তেজনা কমলেও চীনের বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত।
এরই মধ্য অবস্থান শক্তিশালী করতে সীমান্তে ভারী যান ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করে উভয় দেশ। পরবর্তীতে দেশ দুটির মধ্যকার চলমান সামরিক উত্তেজনা নিরসনে দফায় দফায় সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা চলে। তবে সীমান্ত পরিস্থিতিকে এখনও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক বলে উল্লেখ করে থাকে নয়াদিল্লি। এদিকে চীন দাবি করে পরিস্থিতি এখন শান্ত।
এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবারের বৈঠকে জয়শঙ্ককরকে ওয়াং উই বলেছেন যে, সীমান্ত বিষয় নিয়ে দুপক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধান খুঁজে বের করতে ভারত ও চীনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
বর্তমানে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য সহায়ক দেশ হলো চীন।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ