তালেবান ফের ক্ষমতায় আসা সত্ত্বেও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় রক্তপাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে, যেখানে সামরিক শক্তির ওপর নির্ভরতা কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পরিবর্তনের এটাই সময়। এ সিদ্ধান্ত শুধু আফগানিস্তান নিয়েই নয়, এটা অন্য দেশ পুনর্গঠনে বৃহৎ পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর যুগেরও সমাপ্তি।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল দাবি করে জো বাইডেন বলেন, এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের হওয়া চুক্তির আওতায় পাঁচ হাজার তালেবান বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেখানে তালেবানের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডাররাও ছিলেন। তারাই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।
ক্ষমতায় আসার পর তার সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তেমন সুযোগ ছিল না জানিয়ে বাইডেন বলেন, হয় সর্বশেষ প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আফগানিস্তান ছেড়ে আসতে হতো। নতুবা বলতে হতো যে আমরা আফগানিস্তান ছাড়ছি না। সে ক্ষেত্রে আরও লাখো সেনা পাঠানোর কথা বলে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হতো। আমি এ যুদ্ধ আর বাড়াতে চাইনি।
এদিকে, তালেবানের উপপ্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই জানিয়েছেন আফগানিস্তানে আগামী দুই দিনের মধ্যে নতুন সরকারের ঘোষণা আসতে পারে। কাতারে সংগঠনটির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান। তবে নতুন সরকারে নারীরা উচ্চ পর্যায়ে এখনই কাজ করার অনুমতি পাবেন না, তবে নিম্ন পর্যায়ে কাজ করার জন্য অনুমতি পেতে পারেন। তিনি আরও বলেন, বিগত দুই যুগ ধরে আফগানিস্তানের সরকারে যারা ছিলেন তারা হয়তো এবার থাকছেন না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সেনারা কাবুল ত্যাগ করেন। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে তালেবানকে উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ