আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের সন্ধান না মেলায় ক্ষীণ হচ্ছে পাঁচ আরোহীকে উদ্ধারের সম্ভাবনা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হিসাবে, সাবমেরিনটির অক্সিজেন বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৪টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। মানে ডুবোজাহাজটিতে এখন টিকে থাকার জন্য ১০ ঘণ্টার অক্সিজেন আছে।
সাবমেরিনটি উদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত সংস্থা সম্পৃক্ত হয়েছে। উদ্ধারে ১২টি জাহাজ কাজ করছে। জাহাজ ছাড়াও সামরিক বিমান এবং ‘সোনোবয়া’ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা দিয়ে সাগরের অনেক নিচে বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
টাইটানের মাদার শিপ পোলার প্রিন্সের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সাগরের নিচে কেবল বা তার বসানোর জাহাজ ডিপ এনার্জি এবং অন্য তিনটি জাহাজ। আরও জাহাজ সেখানে যাচ্ছে। আর্কটিক অঞ্চলে রসদ সরবরাহের কাজে ব্যবহার হয় এমন জাহাজও গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে সেখানে যাচ্ছে।
মার্কিন কোস্ট গার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেড্রিক জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ক্ররা জটিল এই উদ্ধার অভিযানে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সাবমেরিনটি যে স্থানে ডুবে গিয়েছিল, সেখান থেকে ৩০ মিনিট পরপর ‘ঠুনঠুন’ (স্টিলের সঙ্গে কোনও বস্তুর আঘাত লাগলে যে শব্দ হয়) শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে শব্দটি কতক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে, এটা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
সাবমেরিনটিতে পাইলট এবং ক্রু ছাড়াও তিনজন পর্যটক আছেন। এদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং। বাকি দুইজন পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেল সুলেমান দাউদ।
রোববার (১৮ জুন) আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখার জন্য পানির নীচে যাওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর মাদার ভেসেল পোলার প্রিন্স থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টাইটান।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ