শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডা মেক্সিকো ও কিউবা উপকূল থেকে শক্তি সঞ্চয় করে দ্রুত লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
ঘণ্টায় ১৪০ মাইল বেগে এটি আছড়ে পড়তে পারে। শুধু লুইজিয়ানা নয়, মিসিসিপিসহ আলাবামা-ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সীমান্ত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে।
ঝড়ের পাশাপাশি এসব অঞ্চলে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাতও। মিসিসিপিতে এর মধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র: আবহাওয়া অফিস
ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
আইডাকে ১৮৫০ সালের পর উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ড। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য লুইজিয়ানায় চার হাজারের বেশি সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ড।
এদিকে ১৬ বছর আগে আঘাত হানা হ্যারিকেন ক্যাটরিনার ক্ষয়ক্ষতির কথা স্মরণ করে আতঙ্কে রয়েছে অঙ্গরাজ্যটির নিউ অরলিন্স শহরের বাসিন্দারা। শহরটির মেয়রের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
নিউ অরলিন্সের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অফিসের পরিচালক কলিন আরনল্ড সবাইকে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি সংগ্রহে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। যাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রওনা দিয়েছেন, তাঁদের অন্তত তিন দিনের খাবার ও পানি সংগ্রহে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানার প্রথম তিন দিন নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আরনল্ড কলিন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। আইডাকে ‘ভয়ংকর’ উল্লেখ করে তিনি উপদ্রুত এলাকার লোকজনকে সাহায্যের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ