আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর দুই দিন আগে হামলার আশঙ্কার বিষয়টি সামনে এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
বিমানবন্দরে হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। কাবুলের হাসপাতালগুলো আহতদের চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে। হামলার পর নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধান পেতে মরিয়া তাদের পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে। হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই আফগান নাগরিক।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়াল ১৭০।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির সরকারি এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শুক্রবার রাতে এ তথ্য বিবিসিকে জানিয়েছেন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও কয়েকটি মিডিয়া আউটলেট কাছাকাছি সংখ্যা দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।
কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই আফগান বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ১৩ মার্কিন নাগরিক, দুই ব্রিটিশ নাগরিক এবং আরও একজন ব্রিটিশ নাগরিকের সন্তানের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় একটি শাখা আইএস-কে হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাবুল বিমানবন্দরে পরপর দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় অ্যাবেই গেটের কাছে। যেখানে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী বিমানবন্দরের দায়িত্বে ছিল। হামলার পর গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ব্যারন হোটেলের পাশে। যেখানে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ প্রত্যাশী আফগানদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছিল।
বৃহস্পতিবারের হামলার পর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আরও হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর মেরিন কমান্ডার জেনারেল ফ্রাংক ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ