ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রুপা ও তামার মাস্কে নিষ্ক্রিয় হবে করোনাভাইরাস!

প্রকাশনার সময়: ২৮ আগস্ট ২০২১, ০২:৪৯ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২১, ০২:৫২

রুপা এবং তামা ব্যবহার করে তৈরি একটি বিশেষ ধরনের মাস্ক করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করবে। ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর গবেষকরা এমনটাই দাবি করেছেন।

জানা গেছে, ওই ফেস মাস্কে রুপা এবং তামা ব্যবহার করে একটি ন্যানোলেয়ার তৈরি করা হয়েছে, যা করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। বৃহস্পতিবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল গেজেটে এমন দাবি করা হয়েছে। ওই অ্যান্টি ব্যাকটোরিয়াল মাস্কটি ত্রিস্তরীয়।

ওই মাস্কটির কার্যকারিতা কতটা তা পরীক্ষা করার জন্য কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের ড্রপলেট সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই ড্রপ মাস্কের সিলভার কপার ফিল্মের ওপর রাখা হয়েছিল। ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকো জানিয়েছে, যদি ভাইরাল কনসেনট্রেশন বেশি হয়, তাহলে আট ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাস উধাও হয়ে যাওয়ার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ভাইরাল কনসেনট্রেশন কম হয়, তাহলে দু’ঘণ্টার মধ্যেই উধাও হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, মহামারি পরিস্থিতিতে ওই মাস্ক যে সাধারণ মানুষের কাজে আসবে তা বলা বাহুল্য। এবার প্রশ্ন, আদৌ কি মাস্কটি ধোয়া যাবে? এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে, মোট ১০ বার ধোয়া যাবে ওই মাস্কটি। তবে তার কত দাম হবে, সে প্রসঙ্গে কোনো ধারণা দেয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, হালে নানা ধরনের মাস্ক কিনছেন অনেকেই। এ নিয়ে নানা ধরনের গবেষণাও চলছে। কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা দাবি করেছিলেন যে তারা এক অনন্য মাস্ক বানিয়ে ফেলেছেন, যা পরলেই বোঝা যাবে রোগী করোনা আক্রান্ত কিনা। ওই মাস্কের নাম দেয়া হয়েছিল নভেল ফেস মাস্ক। গবেষকরা জানিয়েছিলেন, মাস্ক পরার ৯০ মিনিটের মধ্যেই কোভিড পজিটিভ না নেগেটিভ তা জানা যাবে। আসলে মহামারি শুরুর পরে প্রথম সমস্যা ছিল করোনা পরীক্ষা করানো নিয়ে। যাতে খুব দ্রুত করোনা পরীক্ষা করা যায়, তাই ওই আবিষ্কারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বিশ্ব। তাই করোনাকে রোখার চেষ্টা চালাচ্ছেন গবেষকরা।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ