ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে হাক্কানি নেটওয়ার্ক

প্রকাশনার সময়: ২০ আগস্ট ২০২১, ১৫:১৮

দীর্ঘ ২০ বছর পরে সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে। আর তালেবান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক আফগানিস্তানের সশস্ত্র সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে।

জানা যায়, হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তান ভিত্তিক আফগানিস্তানের সাময়িক সংগঠন। এরা আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে ন্যাটো বাহিনী ও আফগানিস্তান সরকারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। এই সংগঠনের নেতা হলেন, জালালউদ্দিন হাক্কানি ও তার ছেলে সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। আমেরিকা মনে করে এটি পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের উপজাতীয়দের একটি সশস্ত্র সংগঠন। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানি নেটওয়ার্ককে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

এরআগে, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খলিল আল-রহমান হাক্কানিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ। সে সময় তাকে গ্রেপ্তার বা তথ্য প্রদানের জন্য ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়া জাতিসংঘের সন্ত্রাসীদের তালিকায়ও নাম রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের।

ভয়েস অব আমেরিকার জনায়, কট্টরপন্থী গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আল কায়েদাসহ বিদেশি বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে তুলে দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তারা বলছেন, এটি তালেবানের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের শাসনামলের চেয়ে এবার মধ্যপন্থী পথ বেছে নেওয়া হবে বলে তালেবান প্রতিশ্রুত দিয়েছিল।

এদিকে এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে ফের আল-কায়েদার ফিরে আসার সম্ভাবনাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, তালেবানের এই সিদ্ধান্ত, গত বছর কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার সময় গোষ্ঠীটির নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে। কারণ সে আলোচনায় তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, আফগানিস্তান আবার বিদেশি জিহাদিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না।

অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ব্রিটিশ কূটনীতিক আইভর রবার্টস ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্যদের কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া কার্যত ‘শিয়ালকে মুরগির খামারের দায়িত্ব দেওয়ার সমতুল্য’।

কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্ট বা সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী প্রকল্পের সিনিয়র উপদেষ্টা আইভর রবার্টস। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা এবং চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গবেষণা করে। আইভর বলেন, তালেবানের এই পদক্ষেপে তিনি বিস্মিত। তার ভাষায়, ‘আমি ভেবেছিলাম, তালেবান এর থেকে একটু বেশি বুদ্ধি রাখে। সূত্র : মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার।

নয়া শতাব্দী/জেআই/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ