ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০০০

প্রকাশনার সময়: ১৮ আগস্ট ২০২১, ১৮:০০

হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখনও ধ্বংস্তূপ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার করছে সেখানকার প্রশাসন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৪১ জনে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ।

দেশটির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভ্যালে জানায়, এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৯১৫ জন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম কম্পন হয়। মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাইতির রাজধানী থেকে প্রায় ১২৫কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা কেন্দ্র। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে হাইতি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। ভূমিকম্পের তীব্রতায় দেশের একটি অংশের বাড়িঘর কার্যত ধুলোয় মিশে গেছে। প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

ভূমিকম্পের পর হাইতি যেন এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। কেউ প্রিয়জনের খোঁজে, কেউ আবার চিকিৎসা সহায়তা অথবা খাবার-পানির জন্য রাস্তায় রাস্তায় চিৎকার করে বেড়াচ্ছেন। তাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে দারিদ্র্যের চাপে পিষ্ট দেশটির আকাশ-বাতাস। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। তাদের খোঁজে চলছে উদ্ধার অভিযান।

ভূমিকম্পের কবলে পড়ে গুঁড়িয়ে গেছে বসতবাড়ি, গির্জা এবং স্কুল। অনেক হাসপাতাল রোগীতে ভরে গেছে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের প্রয়োজন ছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বাসিন্দারা মরিয়া হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে আহতদের টেনে বের করার চেষ্টা করছেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় একটি গির্জা অ্যাংলিকান চার্চের প্রধান আর্চডিকন আবিয়াদে লোজামা বলেন, ‘রাস্তাগুলো মানুষের চিৎকারে ভরে গেছে। মানুষ তাদের প্রিয়জন কিংবা কোনো সম্পত্তি, চিকিৎসা সহায়তা এবং খাবার পানি খুঁজছে।’

এর আগে ২০১০ সালে হাইতিতে একটি ভূমিকম্পে ২ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। সে সময় দেশের অবকাঠামো এবং অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ