ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তালেবানের আফগানিস্তান দখল, যা বললেন মালালা

প্রকাশনার সময়: ১৬ আগস্ট ২০২১, ০৮:২৫

মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ২০ বছর পর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিচ্ছে তালেবান। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট প্যালেস তালেবান দখলে নিয়েছে বলে তালেবানের দুই কমান্ডার জানিয়েছেন। তবে আফগান সরকারের তরফ থেকে তালেবানের এই দাবি নিশ্চিত করা হয়নি।

তালেবান বাহিনীকে কাবুলে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে বলে সংগঠনটির মুখপাত্র জাহিবুল্লাহ মুজাহিদ স্থানীয় টোলো নিউজকে জানিয়েছেন। কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তালেবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসতে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব দরবারে আলোচিত পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করায় আমরা পুরোপুরি ধাক্কা খেয়েছি। আমি আফগানিস্তানের নারী, সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকারের সমর্থকদের ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় শক্তিকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পাশাপাশি টুইটে মালালা জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান এবং শরণার্থী ও বেসামরিকদের রক্ষা করার কথা বলেছেন।

তালেবানের সদস্যদের বলা হয় মুজাহিদিন। ১৯৮০ সালে মার্কিন বাহিনীর সহায়তায় আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী হটাতে অগ্রাণী ভূমিকা রেখেছিল তালেবান।

১৯৯৬ সালে তালেবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা পুরোপুরি দখলে দেওয়ার পর দেশটিতে কঠোর শরিয়া আইন চালু করে। ওই সময় ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে পাথর নিক্ষেপ, চুরির জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা এবং মেয়েদের স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ জারি করে তালেবান।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন সমর্থিত আফগান বাহিনী তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমর পালিয়ে যান। ২০১৩ সালে মোল্লা ওমরের মৃত্যুর দুই বছর পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার ছেলে। কিন্তু এরপর আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের লড়াই চালিয়ে গেলেও চলতি বছর মার্কি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই খুব অল্প সময়েই দেশটির বিভিন্ন এলাকা নিজেদের দখলে নেওয়া শুরু করে সংগঠনটি। রোববার রাজধানী কাবুলও পুরোপুরি ঘিরে ফেলে তালেবান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

১৯৯৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তালেবানি শাসনে নারীদের শিক্ষা ও কাজের অধিকার ছিল না। তবে এবার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় যাওয়া তালেবানের একজন মুখপাত্র নারীদের অধিকারের প্রতি যোদ্ধারা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। নারীদের নিয়ে এবার অনেকখানি নরম অবস্থান নিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, নারীদের ব্যাংকে কাজ করতে দেওয়া হবে কি না- এ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ইসলামিক আইন প্রণয়নের পর চূড়ান্ত হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ